শিরোনাম
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু
রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:১০ পিএম / ৭৬ বার পড়া হয়েছে
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রক্ত সঞ্চালনে মানা হচ্ছে না সরকারি বিধি নিষেধ। একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে রক্ত দিতে নির্ধারিত বাধ্যতামূলক পাঁচটি পরীক্ষাও করানো হচ্ছে না। মাত্র দুটি পরীক্ষা করেই নেওয়া হচ্ছে রক্ত। রোগী ও তার স্বজন, রক্তদাতা, হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের অসচেতনায় উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে রক্ত গ্রহীতার জীবন।
বিভিন্ন রোগের অপারেশন, গর্ভকালীন অস্ত্রোপচার, দূর্ঘটনা, রক্তশূণ্যতা ও থ্যালাসেমিয়া রোগিরা সাধারণত রক্ত গ্রহণ করেন। রক্ত সঞ্চালনা আইন অমান্য করলে জরিমানা ও সশ্রম কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের অধিকাংশই এই আইনটি সম্পর্কে অবগত নন। উপজেলার কোথাও আইনটি প্রয়োগের নজিরও খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন-২০০২ বাস্তবায়নে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের তৎপরতা এ অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রান দিবে এমনটি ভাবনা চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ উপজেলায় নিবন্ধিত ৯টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ৩টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে। ৫০ শয্যার একটি সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৭টি ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এগুলোতে গড়ে প্রতিদিন তিন শতাাধিক রোগি চিকিৎসা নেন। এখানে ৫টি স্বেচ্ছাসেবী ব্লাড ব্যাংকের প্রায় দুই হাজার দাতা নিয়মিত বিনামূল্যে রক্ত দেন। এদের কাছ থেকে গড়ে প্রতিদিন অন্তত: ১২-১৫ জন রোগি রক্ত গ্রহণ করেন। এছাড়াও স্বজন-শুভাকাঙ্খিরাতো রয়েছেই। প্রতিমাসে গড় রক্ত গ্রহীতা রোগির সংখ্যা ৩৬০-৪০০ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, কাউকে রক্ত দেওয়ার পূর্বে দাতাকে গ্রুপ নির্ণয় ও ক্রসম্যাচিংয়ের পাশাপাশি সিপিলিস (ভিডিআরএল, টিপিএইচএ), হেপাটাইটিস বি (এইচবিএসএজি), হেপাটাইটিস-সি (এইচসিভি), এন্টি এইচআইভি (এইডস) ও ম্যালেরিয়া (এমপি টেস্ট) এ ৫টি পরীক্ষা করাতে হয়। কিন্তু রায়পুরের কোথাও সবগুলো পরীক্ষা করা হয় না। কাউকে শুধুমাত্র ক্রসম্যাচিং, আবার কোথাও হেপাটাইটিস-বি ও হেপাটাইসি-সি পরীক্ষা করেই রক্ত সঞ্চালন করা হয়।
রায়পুর ব্লাড ডোনেট কাবের পরিচালক মীর মাসুদ বলেন, আমরা চাই প্রতি ব্যাগ রক্ত সঞ্চালনে সরকারি বিধান প্রতিপালিত হোক। যেহেতু রোগিরা বিনামূল্যে রক্ত পাচ্ছেন, তাই তাদের উচিত পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করে রক্ত গ্রহণ করা। নতুবা রোগি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি আমাদের কষ্টও বৃথা যাবে। উপকারের চাইতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের উচিত আইন বাস্তবায়নে তৎপর হওয়া। নইলে সকলের অগোচরে রোগিরা উচ্চ ঝুঁকি নিয়েই রক্ত নিতে থাকবেন।
মাতৃছায়া হাসপাতাল (প্রা:)’র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহমান তুহিন চৌধুরী জানান, একজন রোগীর এক ব্যাগ রক্ত সঞ্চালনের জন্য নির্ধারিত পরীক্ষাসহ ৫ হাজার টাকার অধিক খরচ আসে। কিন্তু রোগি বা তার স্বজনরা কখনোই এটা করাতে রাজি হন না। আমরা নিয়ম ও ঝুঁকির বিষয়ে বললে উল্টো তারা আমাদের সাথে রূঢ় আচরণ করেন। এটা আমাদের ব্যবসায়িক লাভের আশায় পরামর্শ বলে উল্টো বদনাম করেন। আমরাও চাই নিয়মের মধ্যে রক্ত পরিসঞ্চালনা করা হোক।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম বলেন, আমরা নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো করেই রক্ত গ্রহণে রোগিদের উৎসাহিত করি। কিন্তু তারা খরচের কথা চিন্তা করে অনেক সময় সবগুলো পরীক্ষা না করিয়েই রক্ত নেন। এটি তাদের অজান্তেই তারা ঝুঁকির মুখে পড়ছেন। নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আহাম্মদ কবীর বলেন, রক্ত গ্রহিতার উচিত সবগুলো পরীক্ষা করিয়ে রক্তের মান নিশ্চিত হয়ে রক্ত নেওয়া। চিকিৎসকের উচিত পরীক্ষার বিষয়টি দেখভাল করা। কারণ একজন ভালো রোগি রক্ত নিতে গিয়ে সারাজীবনের জন্য ক্ষতিকর ৫-৬টি রোগের জীবানুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়। তাই ঝুঁকি এড়াতে পরীক্ষাগুলো অবশ্যই করতে হবে। আইনটি সম্পর্কে অনেকেরই এখনো ভালো ধারণা নেই। তাই এটি বাস্তবায়নের আগে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে।
উপকূল ডেস্ক: : পিস উইন্ডস জাপান (PWJ) এবং ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্ট (DCHT) এর যৌথ উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বন্...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নুর আলম পরী (২২) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অ...বিস্তারিত
উপকূল ডেস্ক: : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ভূমি দস্যুতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সবুজ পন্ডিত ও কামাল সর্দার নামে দু’ব্যক...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদী সংলগ্ন চরের পুকুর থেকে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবা...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবদলের সদস্য সুজন পাটোয়ারীর উদ্যোগে ব...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাতাস বাড়লেই বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। একবার গেলে ফেরত আসতে ৪-৫ ঘন্টা লেগ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 দৈনিক উপকূল প্রতিদিন | Developed By Muktodhara Technology Limited