শিরোনাম
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু
রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:০১ পিএম / ৭৮ বার পড়া হয়েছে
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাতাস বাড়লেই বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। একবার গেলে ফেরত আসতে ৪-৫ ঘন্টা লেগে যায়। আবার কখনো অল্প সময়ে ফেরত আসলেও চলতে থাকে যাওয়া-আসার খেলা। ঝোড়ো হাওয়া হলেতো ১০-১২ ঘন্টায় স্বাভাবিক হয়না। এখানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রধান বাধা হচ্ছে সুপারি গাছ। এ অঞ্চলের অর্থকরী এ গাছটি এখন বিদ্যুত কর্মীদের কাছে আতঙ্কের নাম। কখন, কোথায় সুপারি গাছ উপড়ে পড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়- এ নিয়েই তাঁদের দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যু সমিতির রায়পুর জোনাল অফিসের মাধ্যমে উপজেলাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে গ্রাহক সংখ্যা ৯৫ হাজার ৮৫৬ জন। তন্মধ্যে আবাসিক ৭৯ হাজার ৯২২ ও বাণিজ্যিক ৭ হাজার ৬৩৯ জন। কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন ৯৫ জন। রায়পুর, রাখালিয়া, হায়দরগঞ্জ ও আখনবাজারে স্থাপিত ৪টি অভিযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা চলছে। ১৩টি ফিডের মাধ্যমে ২৬৩.৩৯ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৫৯টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি কিলোমিটারে এখানে ৬৮ জন গ্রাহক রয়েছেন।
অপরদিকে উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে- রায়পুর উপজেলায় ১৯ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। এখানে বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সুপারি বেচা কেনা হয়। এখানকার লোকদের আয়ের বিশাল একটি খাত সুপারি। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে সুপারি বাগান।
উপজেলার বামনী গ্রামের গ্রাহক জাকির হোসেন (৪০) বলেন, ‘আগে বাতাস বাড়লে ঘর-দরজা ভেঙ্গে পড়া নিয়ে আতঙ্কে থাকতাম। কিন্তু এখন সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া। লাইনের ওপর একবার গাছ পড়লে ৮-১০ ঘন্টায়ও বিদ্যুৎ ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে না। কখনো কখনো এটা দিনেও গড়ায়। এতো বেশি পরিমাণ গাছ পড়ে যে বিদ্যুতের লোকজন দিন-রাত চেষ্টা করেও লাইন চালু করতে সক্ষম হয় না।’
পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এ অঞ্চলের লোকদের আয়ের অন্যতম অংশ আসে নারিকেল-সুপারির বাগান থেকেই। তাই এগুলো যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমিন জীবনযাত্রার জন্য বিদ্যুৎও অপরিহার্য। এজন্য যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনগুলোকে আধুনিকায়ন বা ভূগর্ভস্থ লাইনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখনই ভাবা উচিত। কারণ গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন বাঁচাতে গিয়ে নির্বিচারে বৃক্ষ ধ্বংসও আমাদের কাম্য হতে পারে না।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুতের লাইনের দুই পাশের ১০ ফুটের মধ্যে কোনো গাছ থাকতে পারবে না। কিন্তু সঞ্চালন লাইনগুলো ব্যক্তি মালিকানা জমির ওপর দিয়ে যাওয়ায় কখনোই এ নিয়ম পালন করতে পারেনি তারা। এজন্য নিয়মিত তার সংলগ্ন গাছ কেটেই লাইন চালু রাখা হচ্ছে। এ কারণে বাগানের লম্বা সুপারি গাছ একটু বাতাসেই বা বয়সের ভারে ২৫-৩০ হাত দূর থেকেই যখন-তখন হেলে পড়ছে লাইনের উপর। এ কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা ফিড লাইন বন্ধ রেখে মেরামত কাজ চালাতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগকে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রায়পুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘৩টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে এ উপজেলায় আমাদেরকে এক হাজার ৩১৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন পরিচালনা করতে হয়। রায়পুরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রধান বাধা গাছ। বিশেষ করে সুপারি গাছের কারণে আমাদেরকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রায়ই লাইনের ওপর সুপারি গাছ পড়ে তার ছিড়ে যাচ্ছে। বাতাস বাড়লে এ ভোগান্তির সীমা থাকে না। কেউ কেউ না জানিয়ে গাছ কাটতে গিয়ে লাইন ছিড়ে ফেলে রাখছেন। এখানে গাছ পড়ে এতো বেশি পরিমাণ তার ছিড়ে যায় যে- এসব মেরামত করতে গিয়ে আমাদেরকে হিমসিম খেতে হচ্ছে।’
উপকূল ডেস্ক: : পিস উইন্ডস জাপান (PWJ) এবং ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্ট (DCHT) এর যৌথ উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বন্...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নুর আলম পরী (২২) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অ...বিস্তারিত
উপকূল ডেস্ক: : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ভূমি দস্যুতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সবুজ পন্ডিত ও কামাল সর্দার নামে দু’ব্যক...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদী সংলগ্ন চরের পুকুর থেকে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবা...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবদলের সদস্য সুজন পাটোয়ারীর উদ্যোগে ব...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রক্ত সঞ্চালনে মানা হচ্ছে না সরকারি বিধি নিষেধ। একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শর...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 দৈনিক উপকূল প্রতিদিন | Developed By Muktodhara Technology Limited