শিরোনাম
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু
রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম / ২৮৭ বার পড়া হয়েছে
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পুকুর ও উন্মুক্ত জলাশয়ে সুপারি ভিজিয়ে দূষিত করা হচ্ছে পানি। পঁচা দুর্গন্ধে আশপাশের লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছসহ জলজ প্রাণী। একই সাথে ভেজা সুপারিকে পরিস্কার ও ঝকঝকে করতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর উপাদান হাইড্রোজ।
অসাধু ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিত হাউজ তৈরি না করে উন্মুক্ত স্থানে এসব করায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দীর্ঘদিন ভেজানো থাকা সুপারির খোসার কালো দাগ উঠাতে, ভেতরের সুপারিকে সাদা রাখতে, ঝকঝকে হলদেটে করতে অধিক মুনাফার লোভে পড়ে ব্যবসায়ীরা অতিমাত্রার তিকর এ পাউডারটি সুপারিতে দিচ্ছে। অথচ দেখতে সুন্দর হলেও এটি মুখগহ্বর ও পাকস্থলীর জন্য তিকর।
সরেজমিন উপজেলার চরমোহনা, চরমোহড়া, সোনাপুর, বামনী, সাইচা, উদমারা, উত্তর রায়পুর, চরবগা, কাঞ্চনপুর ও কেরোয়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় হাউজ না করে উন্মুক্ত জলাশয় বিশেষ করে ডোবা, নালা ও পুকুরে ভিজিয়ে রেখেছে সারি সারি সুপারির বস্তা। পানি পঁচে কালো রং ধারণ করে বুথ বুথ বের হচ্ছে। দুর্গন্ধে এসব ডোবার আশপাশ দিয়ে চলাচলও দায়। কোথাও কোথাও বাড়িঘরের আশপাশেই ভিজিয়ে রাখা হয়েছে সুপারি। এতে ওইসব বাড়ির লোকজনের ধম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কিন্তু এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে লাঞ্ছিত হওয়ার আশংকা থাকায় কেউ প্রতিবাদও করতে পারছেন না বলে কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূক্তভোগীর অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সুপারি ব্যবসায়ী জানান, প্রায় প্রতিটি বস্তাতেই লক্ষাধিক সুপারি থাকে। এগুলো ৭-৮ মাস ভেজানো থাকার পর বেশি দামে বেচা হয়। লাভ বেশী হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সুপারি ভেজানোর প্রতি ঝুঁকছে। এছাড়াও শুকানোর ঝামেলার চাইতে ভেজানো সহজ হওয়ায় এবং রাখার জন্য কোনো গোডাউন নেওয়ার ঝামেলা হয়না বলেই অনেকে ভেজানোকেই বেশী সুবিধাজনক মনে করছে।
মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘মুক্ত জলাশয়ে সুপারি ভিজানোর কোনো সুযোগ নেই। ডোবা-পুকুরে অপরিকল্পিতভাবে সুপারি ভিজিয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির পাশাপাশি দেশীয় মাছের বংশবিস্তার ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। পঁচা পানির কারণে অক্সিজেন শূণ্য হয়ে ওই জলাশয়ের মাছসহ সকল জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছ, উপকারী জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ ধরণের পুকুর ও ডোবায় দীর্ঘদিন মাছের বংশবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। এতে প্রাকৃতিক মৎস্যের উৎসের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।’
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাহারুল আলম বলেন, ‘সুপারি এমনিতেই মানুষের মুখগহবরে ক্যান্সারের বিস্তার ঘটায়। পাকস্থলীর জন্যও তিকর। ভেজানো ও ক্যামিকেল মিশ্রিত সুপারির ক্ষতিকর দিক আরো ভয়াবহ। পঁচা ও হাইড্রোজ মিশ্রিত পানি মানুষের ডায়রিয়া, আমাশয়, চর্মরোগসহ পানিবাহিত নানান ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। হাইড্রোজ কাশি, হাঁপানি, পালমোনারি ইডিমা বা ফুসফুসে পানি জমা, এমনকি নিউমোনাইটিস বা ফুসফুসের জটিল সংক্রমণও ঘটাতে পারে।’
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা: আহাম্মদ কবীর বলেন, ‘মানুষের খাদ্যে বিষাক্ত ক্যামিকেল মেশানোর কোনো সুযোগ নেই। এটির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপকূল ডেস্ক: : পিস উইন্ডস জাপান (PWJ) এবং ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্ট (DCHT) এর যৌথ উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বন্...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নুর আলম পরী (২২) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অ...বিস্তারিত
উপকূল ডেস্ক: : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ভূমি দস্যুতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সবুজ পন্ডিত ও কামাল সর্দার নামে দু’ব্যক...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদী সংলগ্ন চরের পুকুর থেকে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবা...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবদলের সদস্য সুজন পাটোয়ারীর উদ্যোগে ব...বিস্তারিত
মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রক্ত সঞ্চালনে মানা হচ্ছে না সরকারি বিধি নিষেধ। একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শর...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 দৈনিক উপকূল প্রতিদিন | Developed By Muktodhara Technology Limited