বাংলাদেশ   বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪  

শিরোনাম

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত মেঘনা উপকূল

জনজীবনে দূর্ভোগ
uploads/reporter_image/Favicon.png

উপকূল ডেস্ক:

শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ পিএম   /    ৬৫ বার পড়া হয়েছে

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত মেঘনা উপকূল

পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ডুবেছে লক্ষ্মীপুরের মেঘনার উপকূলীয় এলাকা। বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলের দিকে জোয়ারের পানি উপকূলে ঢুকতে শুরু করে। এতে জেলার রামগতি এবং কমলনগর উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। জোয়ারের পানিতে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি, নিচু ঘরের ভিটি তলিয়ে গেছে। তবে রাত ৮টার পর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।  বুধবার ছাড়াও গত সোম ও মঙ্গলবার (২২ ও ২৩ জুলাই) একইভাবে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, টানা তিনদিন উপকূল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগ এবং ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন তারা। ক্ষেতের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। হাঁস-মুরগি এবং গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। গৃহস্থালির রান্নার কাজেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, মেঘনা নদীর নির্মাণাধীন তীররক্ষা বাঁধ সময়মতো নির্মাণ না হওয়ায় প্রতি বছর জোয়ারের পানিতে ডুবতে হচ্ছে। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ হলে জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেত উপকূলের বাসিন্দারা।

কমলনগরের চরমার্টিন এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ জালাল আহমেদ জানান, জোয়ারের পানিতে তাদের বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। যাদের ঘরের ভিটি নিচু, তাদের ঘরে পানি ঢুকেছে। এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, এলাকার অনেকেই ক্ষেতে আমনের বীজতলা তৈরি করেছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

আবদুজ জাহের বলেন, রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে।

উপকূলের বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, দিনে এবং রাতে মিলিয়ে প্রতিদিন দুই বার জোয়ার উঠে। রাতের বেলা জোয়ারে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। খাঁচার ভেতরে থাকা অনেকে মুরগি পানিতে ডুবে মারা যায়।

চরমার্টিন কালভার্ট এলাকার গৃহবধূ মরিয়ম বলেন, জোয়ারের সময় খাটের ওপর বসে থাকি। চুলোয় পানি ঢুকে পড়েছে। রান্নার কাজ করা যায় না। শিশু সন্তানসহ পরিবারের লোকজনকে নিয়ে বিপাকে পড়ছি।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, জোয়ারের তোড়ে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ বছর অসময়ে (আগাম) জোয়ারের পানিতে উপকূল প্লাবিত হয়েছে।

মো. ইউসুফ নামে একজন বলেন, নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে। কিন্তু কাজ এখনও শেষ হয়নি। ফলে জোয়ারের পানি বাড়লে উপকূল তলিয়ে যায়। এতে আমাদের ফসলসহ বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তাই দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার দাবি জানাই।

রিলেটেড নিউজ

রামগতিতে কমছে ‘মহিষা দই’ উৎপাদন

রামগতিতে কমছে ‘মহিষা দই’ উৎপাদন

মিসু সাহা নিক্কন : প্রতিদিন প্রায় তিন টন মহিষের দুধ উৎপাদিত হয় রামগতিতে! এই হিসাব থেকে ধারণা করা হয়, এখানে বছরে তিন হাজ...বিস্তারিত


রামগতির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি

রামগতির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি

মিসু সাহা নিক্কন : লক্ষ্মীপুরের রামগতি বাজারের মিষ্টির বেশ পুরোনো ঐতিহ্য আর দারুণ খ্যাতি রয়েছে। যেকোনো উৎসব-পার্বণ...বিস্তারিত


প্রকৃতিবান্ধব আস-সালাম জামে মসজিদ

প্রকৃতিবান্ধব আস-সালাম জামে মসজিদ

মিসু সাহা নিক্কন : লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরাঞ্চলে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব নান্দনিক এক মসজিদ। মসজিদটি বৈদ্যুত...বিস্তারিত


রামগতির চরাঞ্চলে অ্যান্টিবায়োটিকে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

রামগতির চরাঞ্চলে অ্যান্টিবায়োটিকে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

মিসু সাহা নিক্কন : সাধারণ সর্দি-কাশি ও জ্বর সারাতে ব্যবস্থাপত্রে প্যারামেডিক ও পল্লিচিকিৎসকেরা উচ্চমাত্রার অ্যান্...বিস্তারিত



সর্বপঠিত খবর

ভেজা সুপারিতে মেশানো হচ্ছে হাইড্রোজ

ভেজা সুপারিতে মেশানো হচ্ছে হাইড্রোজ

মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পুকুর ও উন্মুক্ত জলাশয়ে সুপারি ভিজিয়ে দূষিত করা হচ্ছ...বিস্তারিত


পাহাড়ের পর্যটনে চলছে বিষাদের ছায়া, হতাশা কাটিয়ে ওঠার আশা

পাহাড়ের পর্যটনে চলছে বিষাদের ছায়া, হতাশা কাটিয়ে ওঠার আশা

উপকূল ডেস্ক: : ‘চলো দোতং পাহাড় জুম ঘরে, পূর্ণিমা রাত বর্ষা জুড়ে জীবন জুয়ার আসর বসাবো’ গানের মতো পর্যটকরাও স...বিস্তারিত



সর্বশেষ খবর