শিরোনাম
মিসু সাহা নিক্কন
রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪, ০২:০৮ পিএম / ৫৫ বার পড়া হয়েছে
সাধারণ সর্দি-কাশি ও জ্বর সারাতে ব্যবস্থাপত্রে প্যারামেডিক ও পল্লিচিকিৎসকেরা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক লিখছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ওষুধের সেবনবিধিতেও (ডোজ) করছেন ভুল। এ কারণে শিশুসহ নানা বয়সের রোগীদের শরীরে কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। বেশি বয়সের লোকজন এর ধকল কিছুটা কাটাতে পারলেও বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন কোমলমতি শিশুরা।
সম্প্রতি রামগতি উপজেলার কয়েকটি চেম্বার ও চরাঞ্চলের ফামের্সী থেকে ৫০টি ব্যবস্থাপত্র সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামনাশিস মজুমদার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে দিয়ে যাচাই করানো হয়। এসব ব্যবস্থাপত্রের মধ্যে ৩৩টিতেই অপ্রয়োজনে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক লেখা হয়েছে বলে তারা মনে করছেন। এই দুই চিকিৎসক বলছেন, সাধারণ সর্দি-জ্বরে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ও এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ সেবনের ফলে রোগীদের শরীরে এর কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, উপকূলের মানুষদের কারণে অকারণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক লিখছেন প্যারামেডিকরা অন্যদিকে পল্লিচিকিৎসকেরা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক খেতে উৎসাহ দিচ্ছেন। তাই এখন আর উচ্চমাত্রা ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। অনেকের শরীরে জীবাণুর সংক্রমণ হচ্ছে ফলে, তা দূর করতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামনাশিস মজুমদার বলেন, ‘শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে অনেক রোগী আমাদের কাছে আসছেন। পল্লিচিকিৎসক এবং প্যারামেডিক পাস করা ডিপ্লোমাধারী অনেকেই জানেন না, কোন সময়ে, কোন রোগের েেত্র কী অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। তবু তাঁরা রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক লিখছেন। এতে উপকূলের অনেকের শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক রেজিস্টার্ড চিকিৎসক সুনাম অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার সময় ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক লিখছেন, যা সেবন করে রোগীর শরীর এর কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এখন আবার প্রাকৃতিকভাবেও অনেকের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমছে। এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন আহম্মেদ কবির বলেন, ‘মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা পল্লিচিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক না লেখার জন্য বলা হয়েছে। তারপরও তারা প্রায়ই প্রয়োজন ছাড়া উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক লিখছেন। আমরা তাদের শোকজ (কারণ দর্শানো) নোটিশ পাঠাই। এর বাইরে আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো আইন আমাদের হাতে নেই।’
উপকূল ডেস্ক: : পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ডুবেছে লক্ষ্ম...বিস্তারিত
মিসু সাহা নিক্কন : প্রতিদিন প্রায় তিন টন মহিষের দুধ উৎপাদিত হয় রামগতিতে! এই হিসাব থেকে ধারণা করা হয়, এখানে বছরে তিন হাজ...বিস্তারিত
মিসু সাহা নিক্কন : লক্ষ্মীপুরের রামগতি বাজারের মিষ্টির বেশ পুরোনো ঐতিহ্য আর দারুণ খ্যাতি রয়েছে। যেকোনো উৎসব-পার্বণ...বিস্তারিত
মিসু সাহা নিক্কন : লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরাঞ্চলে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব নান্দনিক এক মসজিদ। মসজিদটি বৈদ্যুত...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 দৈনিক উপকূল প্রতিদিন | Developed By Muktodhara Technology Limited